যশোর প্রতিনিধি
টেন্ডার আহবান ছাড়াই যশোরস্থ বিদ্যুৎ বি তরণ বিভাগ ওজোপাডিকোর আঞ্চলিক মেরামত কারখানা থেকে ১৪৮৫টি ট্রান্সফরমার ও ৩৭ হাজার ২৩৯ কেজি তামার তার বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ড একক সিদ্ধান্তে সরাসরি বিক্রয় মেথড অনুসরণ করে এ নিলাম সম্পন্ন করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি এ প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানটি প্রায় শত কোটি টাকার মালামাল মাত্র সাড়ে ৫ কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। বিষয়টি গোপন রাখতে ছুটিরদিনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে খালাস প্রক্রিয়া।
ওজোপাডিকোর যশোরের আঞ্চলিক মেরামত কারখানার নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আব্দুল আজিজ জানান, ব্যবহার ও মেরামত অযোগ্য ১০-১৫-২৫ কেভির ৯৩টি ট্রান্সফরমার, ৫০ কেভির ১৬৪টি, ৬৩ কেভির ২০টি, ৭৫-১০০ কেভির ৭৮৩টি, ২০০ কেভির ২৫৮টি, ২৫০ কেভির ১৬০টি, ৩০০-৪০০ কেভির ২টি ও ৫০০ কেভির ৫টি ট্রান্সফরমার এবং ৩৭ হাজার ২৩৯ কেজি তামার তার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ। সেইমতে এসব পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪২ টাকা। এরপর ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোন প্রকার টেন্ডার আহবান না করেই সেনাকল্যান সংস্থার কাছে দরপত্র চেয়ে চিঠি দেন। তারা ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৮৫ হাজার ১৬০ টাকা দরপত্র দাখিল করে। এরপর ওজোপাডিকোর পরিচালনা পর্ষদ তাদের কাছে এসব পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত দেয়। সেইমতে আজ দুপুরের পর থেকে মালামাল বুঝিয়ে দেয়া শুরু হয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি টেন্ডার আহবান না করে গোপনে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় শত কোটি টাকার মালামাল মাত্র সাড়ে ৫ কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। বিষয়টি গোপন রাখতে ছুটিরদিনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে খালাস প্রক্রিয়া। সেনাকল্যাণ সংস্থা ক্রয়কারী হলেও মালামাল বুঝে নিচ্ছে খুলনার এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি।
নিলামে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি ওজোপাডিকোর আঞ্চলিক মেরামত কারখানার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইখতিয়ার উদ্দীন। তিনি বলেন, বোর্ড সিদ্ধান্ত দিয়ে মালামাল বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা কেবল নির্দেশ পালন করেছি