যশোর প্রতিনিধি
পরিচয়ের সূত্র ধরে শহরের সিটি প্লাজা দোকানের সামনে থেকে ডেকে মোমিন নগরের উপর আবাসিক হোটেলের চতুর্থতলার একটি কক্ষে নিয়ে বিমল দাস ওরফে সনু (২৪) নামে এক যুবককে অচেতন করে নগদ ২০ হাজার টাকা,টার্চ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে মুক্তিপন দাবির অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ছিনতাইকারী প্রতারক মজনু রহমানকে গ্রেফতার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার রহেলাপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী সরদার ও মনোয়ারা বেগমের ছেলে। যশোর শহরের রেলবাজার সুইপার কলোনীর বিনোদ হরিজনের ছেলে বিমল দাস ওরফে সনু বাদি হয়ে বুধবার কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় মজনু রহমানসহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন উল্লেখ করেছেন।
মামলায় সনু বলেন,গত ১৭ মে সে ঢাকা থেকে ট্রেনে বাড়িতে ফেরার সময় মজনু রহমানের সাথে পরিচয় হয়। সেই থেকে মজনু রহমান মাঝে মধ্যে বাদির সাথে কথা বার্তা বলতে থাকে। বাদি গত ৩১ মে মঙ্গলবারন যশোর শহরের সিটি প্লাজার বেবি জিন্স বাজার নামীয় দোকানে কাপড় বেচাকেনা করার সময় সকাল ১১ টায় সিটি প্লাজা দোকানের সামনে আসলে মজনু রহমান বাদিকে ভাল মুখে ডেকে যশোর শহরের মোমিন নগরের উপরে যশোর আবাসিক হোটেলের চতুর্থতলার ৪০৮নং কক্ষের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে মজনুর রহমানের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন আসামী বাদিকে পানীয় কোক পান করানোর পরে বাদি প্রায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পর আসামীরা বাদিকে অবৈধভাবে আটক করে তার পরিহিত ট্রাউজারের ডান পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, রেডমি টার্চ ফোন মূল্য ৩০ হাজার টাকাসহ ছিনিয়ে নেয়। আসামীরা বাদির মোবাইল ফোন থেকে তার ছোট ভাই অনুপ দাস এর মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বাদিকে মুক্তিপন হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ঘটনার বিষয় বাদির ছোট ভাই অনুপ দাস পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পুলিশ খবর পেয়ে যশোর আবাসিক হোটেলে অভিযান চালালে অন্যান্য আসামীরা কৌশলে পালিয়ে গেলেও প্রধান আসামী মজনু রহমানকে রাত সাড়ে ৯ টায় গ্রেফতার করে। বাদি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে। পরে থানায় এসে এজাহার দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী মজনু রহমানকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছেন,গ্রেফতারকৃত মজনু রহমান যশোর আবাসিক হোটেল ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছিল দীর্ঘদিন।