যশোর প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় রাজিয়া সুলতানা মিম (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীকে বিষ পান করিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে তার প্রেমিক টগর।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় মির্জাপুর জগদীশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিষ পান করিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে।
বিষপানে অসুস্থ মিম উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। ও মির্জাপুর জগদীশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
মিমের মা পারভীন বেগম ও পিতা আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন আমার মেয়ের সাথে জগদীশপুর গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে টগর(১৮) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের স
ম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে এই নিয়ে সালিস হয়।
আজ সকালে আমার মেয়ে স্কুলে পরীক্ষা দিতে যায় এ সময় টগরের মা নাজমা খাতুন বোতলে ঘাস মারা বিষ নিয়ে মির্জাপুর জগদীশপুর স্কুলে এসে টগরের হাতে দিয়ে মীমকে খাওয়ানোর জন্য পাঠায়।
এ সময় টগর বিষের বোতল নিয়ে মীম এর কাছে এসে মীমকে বলে বিষ তুমি আগে খাও আমি পরে খাচ্ছি। মীমকে বিষ খাইয়ে টগর পালিয়ে যায়। মীম স্কুলের ভিতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কুলের লোকজন উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থা খারাপ হাওয়াই উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতলে রেফার করে।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মীমের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হাওয়াই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করেন।
জানতে চাইলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান মীম নামে রোগী বিষ খাওয়া রোগী ভর্তি হয়েছিল তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ৭২ ঘন্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন এ ঘটনা আমি জানিনা আপনার কাছে প্রথম শুনলাম তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রাজিয়া সুলতানা মীম এর নিকট জানতে চাইলে মীম বলে তার প্রেমিক টগর বিষ এনে মীমকে খেতে বলে তুমি আগে খাও আমি পরে খাচ্ছি। মীমের বিষ খাওয়া শেষ হলে টগর পালিয়ে যাই। মীম আরো জানাই টগরের মা নাজমা খাতুন বিষের বোতল এনে টগরের হাতে দিয়েছিল।