যশোরে এক তরুনীকে প্রতিনিয়ত  অশালীন  ভাষায় মেসেজ পাঠিয়ে হুমকীর ঘটনায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি
লিতুনজিরা (১৮) নামে এক তরুণীকে লক্ষ্য করে মেমোরিকার্ড ছুড়ে দিয়ে নগ্ন ভিডিও এবং স্থীর ছবি আছে দেখে মেমোরিকার্ড ফেরত চেয়ে অব্যাহতভাবে মেসেজ পাঠিয়ে উত্যক্ত করার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম (২২) নামে লম্পট যুবকের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার ১৬ জুলাই সকালে মামলাটি করেন, তরুনীর পিতা যশোর সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে সুলতান আহম্মেদ। মামলায় আসামী করেন,একই গ্রামের রাজ্জাক দফাদারের ছেলে শরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন। র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা শরিফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
মামলায় সুলতান আহম্মেদ বলেন,গত ১ জুলাই সকাল ১০ টায় বাদি ও তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় তাদের মেয়ে লিতুনজিরা ছাদে কাপড় শুকাতে দেওয়ার জন্য গেলে সেখানে প্রতিবেশী লম্পট শরিফুল ইসলাম তার বাড়ির ছাদ থেকে একটি মেমোরিকার্ড বাদির মেয়ের কাছে ছুড়ে দেয়। তারপর বলে মেমোরিকার্ডে তোর নগ্ন ভিডিও এবং স্থীর ছবি আছে। দেখে মেমোরিকার্ড ফেরত চাই। লম্পট শরিফুল ইসলাম তার সাথে দেখা করতে বলে। বাদির মেয়ে ভয়ে শরিফুল ইসলামের সাথে দেখা না করার ফলে শরিফুল ইসলাম তার মোবাইল ফোন থেকে আগামী ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে তার তৈরী করা ভিডিও ইন্টারনেটে এবং ফেসবুক ছেড়ে দেওয়ার হুমকী প্রদর্শন করে এবং প্রতিনিয়ত বাদির বাসায় মোবাইল নাম্বারে অশালীন ভাষায় মেসেজ দিতে থাকে এবং বাদির মেয়েল সাথে যোগাযোগ করতে চাই। লম্পট শরিফুল বাদির মেয়েকে সামাজিক মানসন্মানের হানীসহ ক্ষতি করবে বলে হুমকী দিতে থাকে। লম্পট শরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২/৩জন আসামী পরস্পর যোগসাজসে দু’টি মোবাইল নাম্বার থেকে প্রতিনিয়ত বাদির মোবাইল নাম্বারে  অশালীন ভাষায় মেসেজ ও হুমকী দিচ্ছে এবং বাদির মেয়ের সাথে দেখা সাক্ষাত করার জন্য হুমকী দিচ্ছে। গত ৭ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টায় বাদির স্ত্রী রহিমা বেগম ঘরে অবস্থানকালে তার ব্যবহৃত মোবাইলে লম্পট শরিফুল ইসলামের পাঠানে মেসেজগুলো বাদি ও তার মেয়ে এবং স্ত্রী দেখতে পাই। শরিফুল ইসলাম তার পাঠানো মেমোরিকার্ড ফেরত চেয়ে বাদি ও তার পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকী দিচ্ছে। ঘটনাটি স্থানীয় ও আশপাশের লোকজনকে জানিয়ে থানায় মামলা করেন।