হার্ডে ছিদ্র: ৪ লক্ষ টাকা হলে বাঁচবে আখির জীবন

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি:
হাসিতে ভরা মুখ ৮ বছর বয়সী হোসনে আরা সুলতানা আখি। পড়াশুনা আর সারাদিন ছুটে বেড়ানো, খেলাধুলা করে দিন কাটে তার। সমবয়সী অন্য শিশুরা যখন ক্লান্তিহীনভাবে খেলাধুলায় মত্ত থাকে, তখন মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ছোট্ট হোসনে আরা সুলতানা আখি।
শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, বুকে ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয় তার। একমাত্র মেয়ের অসুস্থতা ঘিরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় দরিদ্র এ পরিবারটি। অসুস্থ মেয়ের এমন মুখভরা হাসিতেও এখন মলিন মুখ বাবা-মায়ের।
শার্শার উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের দাউদখালী গ্রামের দীন মজুর কৃষক রহমত  ও গৃহিণী রেহেনা খাতুনের একমাত্র মেয়ে হোসনে আরা সুলতানা আখি।
জানা যায়, অসুস্থ হওয়ার পর শুরু হয় কবিরাজি ঝাড়ফুকের চিকিৎসা। কিন্তু রোগ সারার কোনো লক্ষণ না দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে আখির। এর জন্য তার অপারেশন প্রয়োজন। লাগবে ৪ লক্ষ টাকা। চিকিৎসকের এমন কথা শুনে চিন্তায় পড়েন বাবা-মা।
ধারদেনা ও জমানো কিছু টাকা ব্যয় করে  চিকিৎসা করিয়েছেন আখির বাবা।এখন চিকিৎসার অভাবে একমাত্র মেয়ে আখির হৃৎপিণ্ডের ফুটোর আকার বেড়ে চলেছে।
আখির বাবা রহমত আলী জানান,তিন বছর আগে আখি ডায়রিয়াই আক্রান্ত হলে তাকে সেই সময় সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো।তখন সেখানকার চিকিৎসক তার হার্ডের ছিদ্রের কথা বলেছিলো।এর পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নীরিক্ষার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে।পরে সুস্থতার জন্য চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেন।
এর জন্য প্রয়োজন হবে ৪ লাখ টাকা। পরে টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। চিকিৎসা না করাতে পারলে হয়তো মেয়েকে বাঁচাতে পারবেন না- এমন চিন্তায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা রহমত। তাই সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন আখির বাব-মা।
চিকিৎসা সহযোগিতার জন্য এই নম্বরে- ০১৭৪০৮৬০১৭৬(বিকাশ) যোগাযোগ করার আহ্বান জানান হোসনে আরা সুলতানা আখির বাবা রহমত।